কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের অর্থায়নে নির্মিত ব্রীজটি মহান মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি বিজড়িত। যা পৌর এলাকার ভাদুঘরের বাসিন্দা সাবেক কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহাম্মদ ও পুনিয়াউট এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদুল হক খান লাভলুর নিকট থেকে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই ব্রীজটির উপর অনেক সম্মুখযুদ্ধের ঘটনা জানতে পেরেছি। বর্ষাকালে এই ব্রীজের নিচ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা নৌকাযোগে আসা যাওয়া করতেন। বিগত ২০০১-২০০২ ইং সনে এই ব্রীজটি নরবরে জোড়াতালিতে বিপদজনক অবস্থায় নিমজ্জিত হয়ে যায়। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার আমলে ব্রীজটি পূর্ণনির্মাণ করা হয়। দেশের ঐতিহাসিক পটভূমি মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এই ব্রীজটিকে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর উদ্যোগে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়েরর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে মহান ভাষা আন্দোলনের বীর সেনানী ও স্বাধীনতা সংগ্রামে পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক নিহত রামরাইল গ্রামে সু-সন্তান অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের (সাবেক মন্ত্রী) নাম অনুসারে “শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ব্রীজ” হিসেবে ব্রীজটির নামকরণ করা হয়।
এ মহান বীর সেনানীর নামে ব্রীজটির নাম ফলক গুলোর করুণ অবস্থা যা খুবই পীড়াদায়ক। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট সড়ক বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী ও সচিব মহোদয়ের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক এই ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম ভিটা রামরাইল ইউনিয়নের রামরাইল গ্রামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া- কুমিল্লা মহাসড়কের রামরাইল ব্রীজটি দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো নির্মাণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
লেখকঃ চৌধুরী মোহাম্মদ আফজাল হোসেন নেছার।
ভাইস চেয়ারম্যানঃ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক।
চেয়ারম্যানঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক।
কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদকঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগ।
Leave a Reply